A novel revolving around the lives of gig workers.
বই বিষয়ক:
এ এক অদ্ভূত কাজের জগৎ; যে খাবার নিয়ে সে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে যাচ্ছে, তার সঙ্গে, সেই খাবার তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়ার সঙ্গে শ্রীমানের কোনও যোগাযোগ নেই। এমনই কাজের ধরন যে, সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠাও শক্ত; এমনই জগৎ যে, কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে দু'বার ভেবে নিতে হবে কত টাকার ক্ষতি। খাবার ডেলিভারি করতে করতে এ-যুগের পরিভাষায় গিগ-ওয়ার্কার শ্রীমান কুণ্ডু জেনে গেছে, রাইডারদের হা-হুতাশের আয়ু খুব বেশি হলে পাঁচ মিনিট।
প্যাসেঞ্জার বাহক মৃত্তিকা সেনও দু-চাকা চালাতে চালাতে বুঝে নিয়েছে মহিলা গিগ-ওয়ার্কারদের জীবনযাপন কতটা বিপজ্জনক।
ওরা সবাই বুঝে যায়, আদতে ওদের অবস্থা কারখানার শ্রমিকদের চেয়েও খারাপ। একটি বোতামের চাপে কোম্পানি তাদের অস্তিত্ব উধাও করে দিতে পারে! কাল থেকে তাদের উপস্থিতিকে অস্বীকার করতে পারে মালিক। ঘটাতে পারে রক্তপাতহীন হত্যা! এ হল, অত্যাধুনিক কায়দায় শোষণ! আর একে ঠেকাতে সহকর্মীদের একত্র করবার কোনও সহজ উপায় নেই। তাহলে কী করবে ওরা?
শ্রীমান-মৃত্তিকা-সোমনাথ-শুভ্রা-মথুরেশ-কাবুল-জয়দেব-বিঘ্নেশ সবার কাছেই প্রিয় হয়ে ওঠে এক নম্বর আকাশগঙ্গা লেনের শতাশিক বছরের পুরনো আকাশগঙ্গা বাড়ি, এবং তার একমাত্র বাসিন্দা বিষাণ বসু। রাত্রিবেলা তিনি টেলিস্কোপে চোখ রেখে তারা দেখেন। শ্রীমান-মৃত্তিকাদের চেনাতে থাকেন আকাশ। একদন নতুন গ্রহে যেতে হবে যে।
ডেলিভারি রাইডার তথা গিগ-ওয়ার্কারদের নিয়ে লেখা এই ধ্রুপদাঙ্গের আখ্যান ভারতীয় ভাষায় সম্ভবত এই প্রথম। অন্তত, বাংলা ভাষায় যে প্রথম তা তো নিঃসন্দেহেই বলা যায়।