A novel set in the backdrop of late 19th cenruty - early 20th century Bengal.
বই বিষয়ক:
দ্বারিকানাথ ঘোষাল প্রথিতযশা চিকিৎসক। বাড়িতেই তাঁর নিজস্ব যমঘর। খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত উনিশ শতকের এই ডাক্তার প্রায় প্রতিদিনই সেই ঘরের পোস্ট মর্টেম করেন। বুঝে নিতে চান কোন রোগ কেড়ে নিয়েছে মানুষটির জীবন। পুত্র কৃতীন্দ্রনাথ মেধাবী ডাক্তার, কিন্তু গড্ডলিকা প্রবাহের যাত্রী নয়। গুরুচন্ডালী গদ্যের মতো তার জীবন। আর আশৈশব সে তার খুড়তুতো বোন মধুমাধবীর প্রণয়াসক্ত। মধুমাধবী প্রতিশ্রুতিমান কবিরাজ। ১৯ বছর বয়সে কৃতীন্দ্রনাথকে জোর করে বিবাহ দেওয়া হয়। পুত্র পুণ্যেন্দ্রনাথের জন্মের কিছুকাল পরেই কৃতীন্দ্র যোগ দেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে।বিশ্বযুদ্ধ থেকে ফিরে যাযাবরের জীবন বেছে নেন তিনি। আর অধ্যাপক পুণ্যেন্দ্রর পুত্র দ্বিজোত্তম মেডিকেল কলেজের ছাত্র, যে খুঁজে চলেছে নিজের শিকড়কে।
এক পরিবারের চার প্রজন্মের তিনজন চিকিৎসকের জীবন প্রবাহের ভিতর দিয়ে সারা বিশ্বে চিকিৎসাবিদ্যার বিবর্তনের ঢেউ কীভাবে আছড়ে পড়েছিল বাংলায়, কীভাবে আনখশির পালটে যাচ্ছিল বাংলার জনস্বাস্থ্য রূপ তার এক জীবন্ত দলিল এই উপন্যাস। ১৮৬০ থেকে পরবর্তী একশো বছরের সমাজচিত্র ধরা পড়েছে এই অক্ষরযাত্রায়। এমন বিচিত্র বিষয়কে কেন্দ্র করে উপন্যাস বাংলায় এই প্রথম।